
উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ ৭৫ হাজার রোহিঙ্গার পরিবার-ভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ আন্তর্জাতিক মানসম্মত হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ তালিকা মিয়ানমার গ্রহণ না করলে দেখা দেবে নতুন বিপদ। তাদের শঙ্কা ১৫ মার্চের মধ্যে তৈরি হতে যাওয়া আংশিক তথ্য সম্বলিত এ তালিকা আরো জটিল ও দীর্ঘায়িত করে তুলবে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়া।
১৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের কাছে ১৬৭৩ পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এগুলো যাচাই বাছাই শেষে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করবে মিয়ানমার। কিন্তু এখনও গ্রিন সিগনাল আসেনি ওই পক্ষ থেকে। উল্টো বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমার প্রথমে পরিবারভিত্তিক ও পরে অঞ্চল ভিত্তিক রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত তালিকা পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। প্রাথমিকভাবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একক তালিকা তৈরি শুরু করে বাংলাদেশ। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে, ২০টি তথ্য সম্বলিত ফরম পাঠায় মিয়ানমার। যার অধিকাংশ পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব ফরমে তথ্য ঘাটতি থাকলে মিয়ানমার গ্রহণ করবে কি না, সংশয় রয়েছে। কারণ প্রথম ধাপে একক ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছিল যাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারে। কিন্তু এটি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সাথে খাপ খাবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে মিয়ামারের জন্য বাধ্যতামূলক প্রস্তাব গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প দেখছেন না বিশ্লেষকেরা।
পাঠকের মতামত